My Speach

ইউরোপে নিউক্লিয়ার গবেষণায় প্রথম বাংলাদেশী তনিমা :


সমপ্রতি তনিমা তাসনিম অনন্যা ইউরোপিয়ান অরগানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চে (সিইআরএন) গবেষণা করার জন্য প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু হিগস-বসন নামে ইলেমেন্টারি পার্টিক্যালের শনাক্তকরণ। তনিমা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত নাসা’র স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটে স্টার ফরমেশন নিয়ে তিন মাস গবেষণা করছেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থিউরিটিক্যাল ফিজিক্সে এক বছর অধ্যয়ন শেষে তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিন মার কলেজের চতুর্থ বর্ষ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের ছাত্রী। উল্লেখ্য, ‘ও’ লেভেলে ফোর্থ ডিস্টিংশন ও ১০টি এ এবং ‘এ’ লেভেলে ছয়টি এ পেয়েছিলেন।

গোপন তথ্য ছবির মাধ্যমে জানা যাবে

ফ্লিকার কিংবা ফটোবাকেটে কত ছবিই না দেখা যায়। কেউ সাঁতরে বেড়াচ্ছে সাগরতীরে, কারো বা বিড়াল বসে আছে সোফায়, আবার কেউবা সন্তানের সঙ্গে খেলছে উঠোনে। আপাত চোখে এসব শুধুই ছবি হলেও, এরা কিন্তু বহন করছে আপনার গোপন তথ্যও।

দিনকয়েক আগে অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ফটোবাকেট থেকে একটি ছবি নিয়েছিলেন যেখানে শিশুসহ এক মহিলা রান্নাঘরে কাজ করছেন। এরপর সেই ছবির সঙ্গে থাকা তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেল, ছবিটি তোলা হয়েছে ওকলাহোমার এডমন্ডে। শুধু তাই নয়, প্রাপ্ত জিওগ্রাফিক তথ্য গুগল ম্যাপে দিয়ে পাওয়া গেল মহিলার বাড়ির মানচিত্রও।
এভাবেই ডিজিটাল ছবি আপনার অবস্থান তুলে দিতে পারে যেকোন মানুষের হাতে। সাধারণভাবে সেটা ক্ষতিকারক মনে নাও হতে পারে। কিন্তু অনেকে নিছক মজা করতে গোপন নামে ব্লগিং করেন। এমন যদি হয়, সেই ছবিগুলো থেকে তথ্য বের করা গেল। এরপর জানাও গেল, কোন ব্যক্তি গোপন নামে ব্লগিং করেন কিংবা, কোন ব্যক্তি সম্পর্কে কি বলছেন। ঠিক এমনি এক কাজ করেছেন, সক্রিয় ফ্লিকার ব্যবহারকারী টমাস হ্যক। এক ব্যক্তি অনলাইনে ছদ্ম নামে বিরক্ত করছিলেন তাকে। এরপর সেই ব্যক্তির ছবির মধ্যে থাকা জিপিএস তথ্য ঘেঁটে বের করে ফেলেন তার ঠিকানা।
ডিজিটাল ছবি থেকে অবস্থান জানার জন্য ব্যবহার করা হয় চেইঞ্জেবল ইমেজ ফাইল ফর্মেট, সংক্ষেপে এক্সিফ তথ্য। এই তথ্য থেকে জানা সম্ভব ছবি তোলার সময় বাড়তি আলো ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, ছবিটা কতটা সম্পাদনা করা হয়েছে কিংবা কখন ছবিটি তোলা হয়েছে। কিন্তু এক্সিফ থেকে অবস্থান জানার বিষয়টি একেবারেই নতুন।
এর কারণও ভিন্ন। ইদানীং ছবিতে জিওট্যাগিং এর ব্যবহার বাড়ছে । স্মার্টফোন বিশেষ করে অ্যাপল আইফোন কিংবা গুগল এন্ড্রয়েড সিস্টেমের ফোনগুলোতে এমনিতেই থাকে জিপিএস সুবিধা। ছবি তোলার সময় তাই সহজেই তাতে যোগ হয়ে যায় জিপিএস তথ্য। অনেক আধুনিক ক্যামেরাতেও রয়েছে এই সুবিধা।
পরবর্তীতে এসব ছবি গুগল ম্যাপে কিংবা সাধারণ অ্যাডোবি ফটোশপে নিয়ে এর নিখুঁত অবস্থানসহ এক্সিফ তথ্য যেকেউ দেখতে পারে। সুতরাং বুদ্ধিমানের কাজ হবে স্মার্টফোনে ছবি তোলার সময় জিপিএস তথ্য তাতে যোগ না করা। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আপনার তোলা ছবিগুলো ফটোশপ কিংবা অন্যকোন সফটওয়্যার দিয়ে এক্সিফ তথ্য মুছেও ফেলতে পারেন। এরপর সেগুলো অনলাইনে দিলে অন্তত অবস্থান সংক্রান্ত জটিলতা থেকে দূরে থাকা যাবে।

No comments:

Post a Comment